বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে বাংলাদেশে প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতিকে বোঝায়। এটি মূলত তিনটি স্তরে বিভক্ত: প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা। প্রতিটি স্তরের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, সিলেবাস, এবং পরীক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।
শিক্ষা ব্যবস্থা:
প্রাথমিক শিক্ষা:
এটি প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এটি দেশের সকল শিশুর জন্য বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক।
মাধ্যমিক শিক্ষা:
নবম ও দশম শ্রেণি এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি এই দুটি ভাগে বিভক্ত। দশম শ্রেণি শেষে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং দ্বাদশ শ্রেণি শেষে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উচ্চ শিক্ষা:
বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং অন্যান্য উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য এই স্তরটি পরিচালিত হয়।
শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা ও সম্ভাবনা:
বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় কিছু সমস্যা রয়েছে, যেমন- শিক্ষকদের অভাব, আধুনিক শিক্ষার অভাব, পরীক্ষার চাপ, এবং সিলেবাসের দুর্বলতা।
তবে, সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যেমন- নতুন শিক্ষাক্রম প্রবর্তন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাদান প্রক্রিয়াকে উন্নত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নতুন শিক্ষাক্রম:
নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৫ সাল থেকে কার্যকর করা হবে। এই শিক্ষাক্রমে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার পরিবর্তে অভিজ্ঞতাভিত্তিক ও দক্ষতা-ভিত্তিক শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে কাজ করার মাধ্যমে শিখতে পারবে এবং তাদের সৃজনশীলতা ও সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটবে।
এই শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা পদ্ধতিরও পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা ক্রমাগত পরিবর্তন ও উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে, সরকার, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, এবং অভিভাবকদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।